মার্কিন ডলার
এই তালিকার নিরঙ্কুশভাবে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন ডলার। যদিও সম্প্রতি ‘গ্রীনব্যাক’-এর প্রাধান্য সামান্য কমেছে, তবুও এটি এখনও বিশ্ববাজারে সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা। প্রায় প্রতিটি দেশই আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ডলার ব্যবহার করে। বর্তমান হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬২% বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ডলারে রাখা হয়েছে, যার পরিমাণ ৭ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। অবাক করার মতো বিষয় হলো, এই বিপুল অর্থের মাত্র ৩০% বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে রয়েছে। বৈশ্বিক ফরেক্স মার্কেটের প্রায় ৮৫% লেনদেনে ডলার কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকে।
ইউরো
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রচলিত মুদ্রা ইউরো। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট ও কোভিড-১৯ মহামারির পর ইউরোর বৈশ্বিক গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। বর্তমানে, ইউরোকে বিশ্বের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে ডলারের তুলনায় এর শেয়ার এখনো তিন ভাগের এক ভাগ মাত্র— যা প্রায় ২০%। ইউরো ১৯টি ইউরোপীয় দেশের সরকারী মুদ্রা এবং বিশ্বব্যাপী লেনদেনেও নিয়মিত ব্যবহৃত হয়। একটি একক আর্থিক ব্যবস্থার সূচনার মাধ্যমে ইউরোজোনের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সংহতি ত্বরান্বিত হয়েছে, ফলে গোটা অঞ্চলের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রসার ঘটেছে।
জাপানি ইয়েন
এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপানের ইয়েন। বর্তমানে এটি বৈশ্বিক রিজার্ভের ৪.৯%-এর প্রতিনিধিত্ব করে, যার পরিমাণ প্রায় ৬৫০ বিলিয়ন ডলার। ইয়েনের শক্তিশালী অবস্থান অনেকাংশে জাপানের শূন্য সুদের হারের নীতির প্রাথমিক বাস্তবায়নের কারণে তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক আর্থিক অস্থিরতার মধ্যেও জাপানি ইয়েনের দর তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকে—এটাই ইয়েনকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, বিশেষ করে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময়ে।
পাউন্ড স্টার্লিং
তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ পাউন্ড। পাউন্ড স্টার্লিং বৈশ্বিক রিজার্ভের ৪.৫% জুড়ে রয়েছে, যা প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের সমতুল্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতনের পর পাউন্ড মার্কিন ডলারের কাছে বৈশ্বিক আধিপত্য হারিয়ে ফেলে। তার আগে, তিন শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পাউন্ড ছিল বৈশ্বিক মুদ্রা ব্যবস্থার রাজা। আজও, পাউন্ড বিশ্ববাজারে অন্যতম সক্রিয়ভাবে লেনদেন হওয়া মুদ্রা। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পর—অর্থাৎ ব্রেক্সিটের পরেও—পাউন্ড স্টার্লিংয়ের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।
চীনা ইউয়ান
এই তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে চীনের ইউয়ান। ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ইউয়ানকে আনুষ্ঠানিকভাবে রিজার্ভ কারেন্সিতে অন্তর্ভুক্ত করে। বর্তমানে ইউয়ান প্রায় ২৩০ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ মোট বৈশ্বিক রিজার্ভের প্রায় ২%-এর প্রতিনিধিত্ব করে। যদিও ইউয়ান এখনও রাষ্ট্র কর্তৃক কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, এবং সীমিত রূপান্তরযোগ্যতা এর বিশ্বব্যাপী বিস্তারকে বাধাগ্রস্ত করছে, তবুও বেইজিং আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় ইউয়ানের ভূমিকা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এই উদ্যোগ মাঝে মাঝে ইতিবাচক ফলও দিচ্ছে।
-
Grand Choice
Contest by
InstaForexInstaForex always strives to help you
fulfill your biggest dreams.প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
চ্যান্সি ডিপোজিটআপনার অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করুন এবং $4000 এর অধিক নিন!
চ্যান্সি ডিপোজিট প্রচারাভিযানে আমরা জুলাই $4000 লটারি করেছি! একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করে এই অর্থ জেতার একটি সুযোগ নিন! এই শর্ত পূরণ করে, আপনি একজন অংশগ্রহণকারী হতে পারবেন।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
বুদ্ধিমত্তার সাথে ট্রেড করুন, ডিভাইস জিতুনআপনার অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে $৫০০ টপ আপ করুন, প্রতিযোগিতার জন্য সাইন আপ করুন এবং মোবাইল ডিভাইস জেতার সুযোগ পান।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন