ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের উপরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3410 লেভেলটি টেস্ট করেছিল, যা পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি যথার্থ এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 30 পয়েন্টের বেশি বৃদ্ধি পায়।
গতকাল যুক্তরাজ্যের প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হলেও তা ব্রিটিশ পাউন্ডকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন দিতে পারেনি। আপাতদৃষ্টিতে ট্রেডারদের এই বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া আসলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের মধ্যকার জটিল সম্পর্ককে তুলে ধরে, পাশাপাশি বিভিন্ন বহিরাগত উপাদানের প্রভাবকেও নির্দেশ করে যা বিনিময় হারকে প্রভাবিত করে।
তত্ত্বগতভাবে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডকে আরও কঠোর আর্থিক নীতির দিকে নিয়ে যেতে পারত, যা ব্রিটিশ পাউন্ডকে বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলত। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। সম্ভবত, অফিসিয়াল প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই মার্কেটে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস আংশিকভাবে মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করেছিল, অথবা যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রভাবকে ছাপিয়ে গিয়েছিল।
আজ যুক্তরাজ্য থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। দিনটি শুরু হবে বেকার ভাতা ও বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিয়ে। এই সূচকগুলো যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারের সামগ্রিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বেকার ভাতা প্রাপ্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া মানে কর্মসংস্থানের অবনতি, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, এই সংখ্যার হ্রাস শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা বা উন্নতি নির্দেশ করে, যা সাধারণত ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগ কার্যক্রমকে সমর্থন করে। অপরদিকে, বেকারত্বের হার শ্রমবাজারের বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরে। স্বল্প বেকারত্বের হার শ্রমিকের ঘাটতির ইঙ্গিত দেয় এবং সম্ভাব্য মজুরি বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি করে, যা আবার মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে। অন্যদিকে, উচ্চ বেকারত্বের হার শ্রমবাজারে অতিরিক্ত সরবরাহের ইঙ্গিত দেয় এবং এটি মজুরি হ্রাস ও ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ায়।
সার্বিকভাবে, আজকের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড ভবিষ্যতে কী ধরনের আর্থিক নীতিমালা অনুসরণ করতে পারে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা গঠনে সহায়ক হবে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3445-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3399-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3445-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3381-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3399 এবং 1.3445-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3381-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3344-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। চলমান বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3399-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3381 এবং 1.3344-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।