শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

শুক্রবার অত্যন্ত বিশৃঙ্খলভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এমন মুভমেন্টের পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছিল না। শুক্রবার এবং পুরো সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যার কারণে সম্ভবত ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের দেখা গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, মার্কিন পরিসংখ্যানের কিছুটা শক্তিশালী ফলাফলই এখন একটি বড় অর্জন হিসেবে ধরা হচ্ছে। বেকারত্বের হার না বাড়ায় এবং ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যাওয়ায় ডলার শক্তিশালী হয়েছে। তবে, সামগ্রিকভাবে মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর এই ধরনের ফলাফলকে "অত্যন্ত ইতিবাচক" বলা যায় না, তাই ডলারের মূল্যের উত্থান ছিল অনেকটা টেকনিক্যাল কারণে প্রতিক্রিয়ার ফলাফল। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার এর চেয়েও বেশি শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছিল, যদিও তখনকার সব মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফ স্পষ্টতই দুর্বল ছিল। তাই বলা যায়, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো ডলারকে সহায়তা করছে না — অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মার্কেট ট্রেডারদের দ্বারা উপেক্ষিত হচ্ছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে শুক্রবার কোনো নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে নতুন ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রির সুযোগ ছিল, কিন্তু শুক্রবার সেরকম কোনো সুযোগ পাওয়া যায়নি। ইউরোপীয় সেশনের সময় স্পষ্ট হয়ে যায় যে 1.3289–1.3297 জোনটি মূল্যের জন্য বাস্তবিক অর্থে কোনো রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করছে না। মার্কিন সেশনে ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যা আবার নতুন করে একাধিক দিকে মূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারত — এবং বাস্তবেও তাই হয়েছে।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছে, যার ফলে পাউন্ডের মূল্য এখনো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো সম্পূর্ণভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে — অন্য কিছু নয়। হয়তো ভবিষ্যতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের মনোভাব প্রতি বদলাবে, তবে এখনো সে রকম কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সোমবার নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। সামগ্রিকভাবে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, এবং ভবিষ্যতে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল আরও ভালো হবে এমন আশা করার কোনো কারণ নেই। ডলারের জন্য আপাতত শুধুই টেকনিক্যাল রিবাউন্ডের সুযোগ রয়েছে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিচের লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3289–1.3297, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। সোমবার যুক্তরাজ্যে আবারো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই, এবং যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রকাশিত হবে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনটিকেও খুব সহজেই উপেক্ষা করতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।